বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল সমূহ | শতভাগ কার্যোপযোগী
- আর্টিকেল কি?
- ফোকাস কিওয়ার্ড বাছাই করা
- এট্রাক্টিভ টাইটেল বাছাইকরণ
- আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা
- বেশী বেশী পড়া
- ইংরেজী ভাষার উপড় গুরুত্বারোপ দেওয়া
- উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা
- প্যারাগ্রাফ আকারে আর্টিকেল লিখা
- আর্টিকেল সহজীকরণ করা
- ভূমিকা নির্দেশকরণ
- ফিচার ইমেইজ যুক্ত করা
- টাইটেলে নাম্বার এবং বুলেট ব্যবহার করা
- প্রয়োজনীয় লিংক যোগকরা
- উপসংহার ব্যবহার করা
বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল সমূহ | শতভাগ কার্যো পযোগী
দিন দিন ব্যপকভাবে বেড়ে চলেছে আর্টিকেল লেখার চাহিদা। অত্যন্ত সহজ ও সাবলীল ভাষায় কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠকদের কাছে তুলে ধরার জন্য এই আর্টিকেল একটি উপযুক্ত মাধ্যম। কিছু নিয়ম ও কার্যপ্রণালী গ্রহণ করলে আপনার লেখাগুলি খুবই আকর্ষনীয় এবং তথ্যপূর্ণ হবে। আর্টিকেলের প্রধান কাজ হলো পাঠক বন্ধুদের জ্ঞান বৃদ্ধি করা এবং নতুন নতুন বিভিন্ন বিষয়ে ধারণা প্রদান করা।
আর্টিকেল কি?
যে সমস্ত লেখা কোন একটি বিষয়ে সুবিস্তারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে এবং যেই সমস্ত লেখা পাঠের মাধ্যমে পাঠকদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে ও নতুন নতুন বিষয়ে জানতে সাহায্য করে তাকেই আর্টিকেল বলে।
আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু তথ্য জানা খুবই দরকার, প্রথম কথা হলো- আর্টিকেল লেখাটা কিন্তু খুবই সহজ বা সরল বিষয় না। আপনি প্রচুর পরিমাণে গ্রামার সম্পর্কে জানতে পারেন বা প্রচুর পরিমাণে ইংরেজী শব্দার্থ করতে পারেন। আপনি এত কিছু জানেন বলে আপনি কিন্তু ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে পারবেন না। আর্টিকেল লেখা হলো এক ধরনের শিল্প। এটি লিখতে প্রয়োজন অধ্যবসায় এবং ধৈর্য। যা কিনা সকলের নেই। আর সেই জন্যই সকলে আর্টিকেল রাইটার হতে পারে না। এখন আমরা আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন নিয়ম-নীতি সম্পর্কে জানব।
ফোকাস কিওয়ার্ড বাছাই করা
আপনি যদি পেশাদার আর্টিকেল রাইটার হতে চান তাহলে আপনাকে খুব বেশী পরিমাণে আর্টিকেলের শব্দ ও বাক্য তৈরীর জন্য গবেষণা করা এবং সেই বিষয়ে আপনার মানসিকতা তৈরী করা খুবই বাঞ্ছনীয়।
আর্টিকেল লেখার শুরুতেই সঠিক ফোকাস কিওয়ার্ড বাছাই করা আপনার জন্য খুবই অপরিহার্য বিষয়। আপনার এই ফোকাস কিওয়ার্ড যেকোন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টিকেলকে খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। তাছাড়া আর্টিকেলের ফোকাস কিওয়ার্ড সঠিকভাবে বাছাই করলে গুগল সহ আরও বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে আপনার আর্টবকেল সবার উপড়ে বা তার কাছাকাছি থাকবে। "গুগল কিওয়ার্ড প্ল্যানার" টুল ব্যবহার করে আপনি কিওয়ার্ড গবেষণা করতে পারেন। তবে আপনি অবশ্যই মনে রাখবেন যে, আপনি যেই কিওয়ার্ড নির্বাচন করছেন সেটি যেন আপনার আর্টিকেলের বিষয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।
এট্রাক্টিভ টাইটেল বাছাইকরণ
আপনি যখন আপনার আর্টিকেলের টাইটেল দিবেন তখন মনে রাখবেন যেন, আপনার আর্টিকেলের টাইটেল দেখে পাঠক আগ্রহ প্রকাশ করে এবং আপনার সেই টাইটেল দেখে পাঠকরা সেটি পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়। এছাড়া টাইটেল নির্বাচনের সময় দেখবেন যে, টাইটেল টি যেন সংক্ষিপ্ত আকারের হয় এবং পাঠক যেন বুঝতে পারে আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন।
আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা
আপনি যদি প্রচুর পরিমাণে আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা না করেন তাহলে আপনি সঠিক তথ্যমূলক আর্টিকেল লিখতে পারবেন না। এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে, আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা করা সেইটা আবার কি? আর্টিকেল নিয়ে গবেষণা করা বলতে আমি বোঝাতে চাই যে, আপনি যেই বিষয় টা নিয়ে আপনার ওয়েব সাইটে লিখবেন, সেই বিষয়ে আপনাকে বিস্তারিতভাবে জানতে হবে। এর ফলে সেই নিদ্দিষ্ট বিষয়ে আপনার পূর্ণাঙ্গ ধারণা চলে আসবে এবং আপনার আর্টিকেলটি সঠিক তথ্য পূর্ণ হবে। আর এর ফলেই আপনার লেখাটি পাঠকদের দ্বারা মূল্যায়িত হবে।
বেশী বেশী পড়া
আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে পড়তে হবে। কারণ বেশী বেশী পড়া আপনার আর্টিকেল লেখার স্কিলকে খুব বেশী গতি সম্পন্ন করে তুলবে। আর্টিকেল লেখার জন্য আপনি বই পড়তে পারেন, অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ের উপড় যেই সমস্ত তথ্য রয়েছে তার মধ্যে আপনার পছন্দের বিষয় গুলি নির্ধারণ করে সেই বিষয়ে বিভিন্ন ওয়েব সাইটের লেখা গুলি পড়তে পারেন। এতে করে আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে, বেশী বেশী পড়ার ফলে আপনার শব্দ জ্ঞান বেড়ে যাবে ও আনন্দপূর্ণ ভাবে আর্টিকেল লেখাও শিখে যাবেন।
ইংরেজী ভাষার উপড় গুরুত্বারোপ দেওয়া
আপনাদের জানা উচিৎ যে, একজন আর্আটিকেল রাইটারের ইংরেজী জানার কোন বিকল্প নেই। কেননা আপনি আপনার সুন্দর আর্টিকেলের ভেতরে যেই সমস্ত মূল্যবান তথ্য প্রকাশিত করবেন, সেইটা পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশের মানুষের কাছে বা অন্য যেকোন ভাষা-ভাষী মানুষের কাছে পৌঁছানোর অথবা তাদের বোঝার সুবিধার্থে যেই ভাষাটি ব্যবহার করবেন সেইটা হলো ইংরেজী ভাষা। ইংরেজী ভাষা ব্যতীত অন্য কোন ভাষা নেই যার মাধ্যমে সবাই একসাথে একই জিনিস বুঝতে পারে। আর তাই একজন রাইটারের উচিৎ ইংরেজীর উপড় দক্ষতা বাড়ানো। ইংরেজীতে দক্ষতা বাড়াতে আপনি যেকোন কোচিং সেন্টারে ভর্তি হতে পারেন, অনলাইনে কোর্স করতে পারেন, বাড়িতে বসে প্র্যাকটিস করতে পারেন, ইংরেজী মুভি দেখতে পারেন, সিরিাল দেখতে পারেন ইত্যাদি। এসব করার ফলে আপনি দেখবেন যে, একদিন এই বিষয়ে আপনার ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়ে যাবে।
উপযুক্ত সময় নির্ধারণ করা
কোন সময়ে আপনি আর্টিকেল লিখবেন? এমন প্রশ্নের উত্তর বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এক কথায় আপনি নিরিবিলি একটা সময় নির্ধারণ করতে পারেন। যেই সমটা আপনার ব্রেইন ঠান্ডা,মন ফুরফুরে থাকবে। হতে পারে সেইটা খুবই ভোরে, দুপুরে, বিকেলে বা রাতে। তবে সবথেকে উপযুক্ত সময় হলো ভোরবেলা। কারণ এই সময় ব্রেইন ফ্রেশ থাকে ও মন ভালো থাকে। এই সময় আপনার মস্তিস্ক আপনাকে বিভিন্ন রকম আর্টিকেল লেখার ধারণা প্রদান করে থাকে।
প্যারাগ্রাফ আকারে আর্টিকেল লিখা
একটি আর্টিকেলের অন্যতম প্রধান অংশ হলো ভূমিকা। একটি আর্টিকেলের শুরুতে ভূমিকা থাকা অতি আবশ্যক। ভূমিকা পাঠকদেরকে আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে জানাতে সাহায্য করে। আর্টিকেলে আপনি কি নিয়ে আলোচনা করবেন সেটি প্রকাশ পাবে ভূমিকায়। ভূমিকা অংশটি ছোট যদিও ছোট হবে, তবুও সেটা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দ্বারা থাকবে পরিপূর্ণ।
আরো পড়ুনঃ মেধা বিকাশে বাড়তি পুষ্টি
ফিচার ইমেইজ যুক্ত করা
আপনার আর্টিকেলের ভেতরে ওই আর্টিকেল রিলেটেড একটি প্রাসঙ্গিক ইমেজ যুক্ত করা খুবই প্রয়োজনীয় কেননা পাঠকরা কেবল আর্টিকেল পড়তে চায় না। আর্টিকেল পড়ার পাশাপাশি তারা প্রাসঙ্গিক ইমেইজও দেখেতে চায়। সেই জন্য লেখার মাঝে ইমেইজ দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
টাইটেলে নাম্বার এবং বুলেট ব্যবহার করা
আপনার আর্টিকেলের বিভিন্ন তথ্য সহজে এবং কম সময়ের মধ্যে খুঁজে পেতে আর্টিকেলের শুরুতে নাম্বার ও বুলেট আকারে টাইটেলের নাম গুলি যুক্ত করা অতি অপরিহার্য বিষয়। কেননা নাম্বার ও বুলেট যুক্তকরণের কারণে পোস্টের সৌন্দর্য যেমন বাড়ে তেমনি এর কারণে পাঠকদের মাঝে আর্টিকেল পড়ার উৎসাহ বাড়ে।
প্রয়োজনীয় লিংক যোগকরা
পাঠকদের সুবিধার্থে এবং আরও বিভিন্ন বিষয় জানতে আপনি আপনার আর্টিকেলের মাঝে বাড়তি কিছু লিংক যোগ করতে পারেন। এর কারণে আপনার ওয়েব সাইটে পাঠকদের উপস্থিতির সময় দীর্ঘায়িত হবে।
উপসংহার ব্যবহার করা
আপনি আপনার আর্টিকেলের শেষে উপসংহার লিখবেন। যেখানে আপনার আর্টিকেলের সমস্ত বিষয়ের সারসংক্ষেপ নিয়ে বলবেন।
আপনার পোস্টগুলো আমি নিয়মিত দেখি।