মেধা বিকাশে বাড়তি পুষ্টি
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটু বাড়তি পুষ্টি রাখতে অথবা সন্তানদের মেধা
বিকাশে আমরা যোগ করি নানা ধরনের ফল-মূল। কিন্তু আমরা কি একটি বারও
ভাবি যে, এই ফল কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত! কতটুকু নিরাপদ! এবং কতটুকু
সুরক্ষিত!
চলুন জেনে নিই কিভাবে বা কোন পথ ধরে কোটি কোটি টাকার এসব ফল আসে
বাংলাদেশে!
দেশে প্রতি বছর প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানী করা হয়। আর এই ফলের বেশীর
ভাগই ব্যবহার করা হয় রোগীর পথ্য হিসেবে কিংবা মধবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের
সদস্যদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় বাড়তি পুষ্টির আশায়।
কিন্তু একবারও ভেবে দেখিনা যে, পুষ্টির আশায় আমরা এসব বিদেশী ফল আমাদের খাবারের
পাতে রাখছি সেগুলো তা কতটুকু নিারপদে পৌঁছাচ্ছে আমাদের কাছে?
বলাই বাহুল্য, এসব ফল খেয়ে বাড়ছে ক্যানসার সহ নাানন রোগে ঝুঁকি।
কিন্তু কিভাবে একটি পুষ্টিকর ফল দেশে আসতেই মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর
হয়ে ওঠে? বা বিষেেপরিণত হয়? তার নেপথ্যের কাহিণী।
বিশ্বের কয়েকটি শীত প্রধান দেশ থেকে আস মাল্টা, কমলা, আপেল, আঙ্গুর এবং বাহারি
জাতের ফল। যেগুলো চাহিদা মেটায় সারা দেশের মানুষের।
চট্টগ্রামের পানিপথ ধরে বড় বড় সব কন্টিনারে করে বাংলাদেশে আসে এসব ফল। এরপরে
এসব ফল চলে যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে,বিভিন্ন আনাচে কানাচে এবং বিভিন্ন
প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
তাছাড়া ভারত ও ভূটান থেকেও সড়ক পথে আসে বেশ কিছু ফল।
তবে অধিকাংশ ফল নদীপথে কন্টিনারে হিমাগারে বা freezing হয়ে আসে। তাও নাকি আবার
বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে সতেজ রাখা।
প্রথমেই আসা যাক দক্ষিণ আমেরিকার ফল মাল্টা প্রসঙ্গে। যেই মাল্টা আমরা খাচ্ছি
কিন্তু ভুলক্রমেও ভাবিনা কোথা থেকে র কিভাবে আসে? র প্রক্রিয়াজাত করে সতেজ রাখা
হয় কিভাবে?
আরও পড়ুন: মেধা বিকাশে বাড়তি পুষ্টি এর বাকি অংশ
Vitanin C যুক্ত এই ফলটি ( মাল্টা ) দীর্ঘদিন থাকার পর যে বিষে পরিণত হচ্ছে সেই
দিকে আমরা কি নজর দিই?
চলুন দেখে নিই কিভাবে দীর্ঘদিন সতেজ রাখা হয় এই মাল্টা?
যদিও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন,ক্যালসিয়াম ও শর্করা পাওয়া যায় এই ফলটিতে।
ব্রাজিল,যুক্তরাষ্ট্র,চীন,ম্যাক্সিকো ও ইতালি থেকে আসে এই ফলটি। মাল্টা উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ সহ সুগারের পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা ছাড়াও
কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বেশ কমায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url