প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা বিষয়ে কিছু বলতে গেলে অনেকগুলি কারণ সামনে চলে আসে। আপনি যদি খুবই কম পরিমাণে পানি পান করে থাকেন, যদি আপনি নানা রকমের অস্বাস্থ্যকর খাবার

প্রসাবে-জ্বালাপোড়া-ঘরোয়া-চিকিৎসা

 খেয়ে থাকেন যেগুলো আপনার শরীরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়না তাই প্রস্রাবের রাস্তায় জ্বালাপোড়া হতে পারে। তাই চলুন আর দেরি না করে আজ আমরা প্রস্রাবে জ্বালাপোড়ার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করবো।

সূচিপত্রঃ প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে মোটামুটি বা হালকা কিছু টিপস মনে রাখা খুবই জরুরী। কেননা আমাদের বা আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক ব্যক্তিরই হঠাৎ করে যখন এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায় তখন তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারলে সেই ব্যক্তি একটু আরাম তথা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে পারে। আর তাই প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা সমন্ধে কিছু না কিছু  খুঁটি-নাটি জেনে রাখা প্রয়োজন। 

আরও পড়ুনঃ

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হলো শুকনো খাবার বেশী খাওয়া, তরল জাতীয় খাবার কম খাওয়া বা বেশী বেশী করে পানি পান না করার কারণে শরীরে পরিপাকতন্ত্রে একটা বিপত্তির সৃষ্টি হয়। যার কারণে প্রস্রাবে ইনফেকশন সহ নানাবিধ জটিলতা দেখা দিতে পারে। এজন্য সকলের উচিৎ শুকনা খাবার খাবার খাওয়ার পরে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা। তাহলে পরিপাকতন্ত্রে পানির স্বল্পতা হবে না এবং শারীরিক বিভিন্ন জটিলতাতেও ভুগতে হবে না।

প্রসাবে জ্বালাপেড়া কেন হয় 

বিভিন্ন কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হলো
  • মূত্রনালীতে সংক্রমণ হওয়া। 
  • প্রস্টেটাইটিস হলো প্রস্টেট গ্রন্থির ত্রুটির কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। 
  • প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার আরেকটি বড় কারণ হলো- মানুষের কিডনীতে পাথর হওয়া। 
  • যৌন সম্পর্কীয় কোন সংক্রমণ যদি থেকে থাকে তবে প্রাসাব করার সময় জ্বালাপোড়া হয়।
  • যারা দীর্ঘ সময় ধরে কোন ঔষধ যখন সেবন করেন, তখন সেই ঔষধের প্রতিক্রিয়া স্বরুপ প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। 
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। ইত্যাদি।  

প্রচুর পরিাণে ভিটামিন সি খাওয়া 

বিভিন্ন রকমের ব্যাকটেরিয়া জনিত কারণে প্রসাবে জ্বালাপোড়া হয়ে থাকে। আর এই ব্যাকটেরিয়া গুলিকে ধ্বংস করতে ভিটামিন সি এর কোন তুলনা নেই। সেজন্য যখন প্রসাবে জ্বালাপোড়া হবে তখন সেই ব্যাথাকে উপশম করার জন্য ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন- কমলালেবু, মাল্টা, লেবু, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, স্ট্রবেরী, আমলকি, পালংশাক, পুদিনা পাতা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, টমাটো এবং ব্রোকলি কিছু পরিমাণে খাওয়া যেতে পারে। 
আরও পড়ুনঃ 

এই সমস্ত খাবারগুলি কেবল বিভিন্ন সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে তাইই নয়, বরং ভিটামিন সি ত্বককে সতেজ ও সুস্থ রাখতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এছাড়া ভিটামিন সি এন্টিঅক্সিডেনট হিসেবে কাজ করে যার ফলে মানুষের শরীরে রেডিকেল থেকে জন্ম নেওয়া বিভিন্ন ক্ষয়-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। আবার ভিটামিন সি এর কারণে শরীরে কোলাজেন নামক এক ধরণের উন্নতমানের প্রোটিন উৎপাদন হয়। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধে খুবই উপযোগী।

প্রসাবে-জ্বালাপোড়া-ঘরোয়া-চিকিৎসা


মেথি বীজ খাওয়া

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা করার জন্য প্রধান একটা উপকরণ হলো মেথি বীজ। কারণ নিয়মিত মেথি বীজ খেলে তার গুণের প্রভাবে প্রসাবের নালীর সংক্রমণ সম্পূর্ণ রূপে নিরাময় করে তুলে। তাছাড়া কারও যদি ঘন ঘন প্রসাব করার মত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তার জন্য মেথি বীজ হতে পারে বড় একটা সমাধান। মেথি বীজ সেবনের ফলে ঘন ঘন প্রসাবের সমস্যা অতি দ্রুততার সাথেই ঠিক হয়ে যায়। বলা যায় যে এটা  মেথি বীজের একটা আশির্বাদ। 

বিভিন্নভাবে মেথি বীজ খেয়ে তার সুফল প্রাপ্ত করা যেতে পারে খুবই সহজেই। এই বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। আবার মেথি বীজ সহ সেই পানি পান করলেও দারুন ফল পাওয়া যায়। আবার এই বীজ আপনারা পানিতে না ভিজিয়ে সরাসরি চিবিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়া মেথি বীজ কে আপনার পছন্দ মতো নানান খাবারের সাথেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। বলা যায় মেথি বীজকে যেই ভাবেই খাওয়া হোক তার ফল খুবই ভালো হয়।

পর্যাপ্ত পানি পান করা

পানি হলো বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এবং অতি প্রয়োজনীয় এক উপাদান। যার উপস্থিতিতে শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয় আবার তার অভাবে জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। পানির উপস্থিতিতে আমাদের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে।  আমাদের শরীরে যত সব অস্থির সন্ধিস্থল রয়েছে সেগুলোকে সঠিকভাবে সচল রাখতে পিছিল করে থাকে এবং সেই সকল অস্থি সংযোগ স্থলের একটি অস্থির সাথে আরেকটি অস্থির ঘর্ষণ যেন না হয় তার জন্য বড় ভূমিকা পালন করে। 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা করার পূর্বে অনুধাবন করুন যে, আপনারা প্রতিদিন ঠিক কি পরিমাণ পানি পান করেন। অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন প্রতিদিন আমাদের কমপক্ষে দুই-তিন লিটার পানি পান করা উচিৎ। আবার পানি পান করলে যে কেবল মাত্র প্রসাবের জ্বালাপোড়াই নিরাময় হয়ে থাকে তা নয়। বেশী বেশী পানি পান করার সুবিধা রয়েছে হাজার রকমের। যার গনণা করে শেষ করা যায়না। তবুও আজ আমরা যৎ সামান্য চেষ্টা করবো। 

প্রসাবে জ্বালাপোড়ার ঘরোয়া চিকিৎসায় পানির গুরুত্ব সবথেকে বেশী। তবে প্রসাবের জ্বালাপোড়া নিরাময় ব্যাতীত অন্যান্ন যেসমস্ত কাজ করে তা আমরা জানবো। 

  • আমাদের শরীরে অনেক টক্সিন জমা থাকে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার ফলে এই টক্সিন বের হয়ে যায়।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার ফলে দেহের তাপমাত্রা বজায় থাকে।
  • প্রতিদিন ২-৩ লিটার পানি পান করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কাজ স্বাভাবিক থাকবে। 
  • খাবার হজমে সাহায্য করে পানি, খাবার খাওয়ার পরে পানি পান না করলে পরিপাক তন্ত্রে ঝামেলার সৃষ্টি হতে পারে।
  • ধমনীতে রক্ত সরবারাহ করতে পানির ভূমিকা অপরিহার্য। পানি পান করলে ধমনীতে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। 
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার ফলে রক্তের প্রবাহ থাকে স্বাভাবিক এবং রক্তচাপ থাকে নিয়ন্ত্রিত।
  • শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে পানি পান করার কোন বিকল্প নেই।

ক্র্যানবেরী যুক্ত জুস খাওয়া

ক্র্যানবেরী হলো আমেরিকায় জন্মানো এক ধরনের গাছ। যা নর্থ আমেরিকাতে বেশী পরিমাণে পরিলক্ষিত হয়। ক্র্যানবেরী এমন একটি ফল যার উপকারের বর্ণনা না করলেই নয়। মানুষের শরীরে মুত্রাশয়ে সংক্রমণ হওয়ার ফলে তাকে নানান রকমের এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হয়। যার ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে যায়। কিন্তু ক্র্যানবেরী গ্রহণ করার ফলে মুত্রাশয় সংক্রমিত হওয়ার হার কমে প্রায় ৬০%-৬৫%। 
আরও পড়ুনঃ

তাই ক্র্যানবেরী গ্রহণ করলে আলাদাভাবে আর এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হয়না। এটি এন্টিবায়োটিক গ্রহণের হারকেও অভাবনীয় মাত্রায় কমিয়ে আনতে দারুনভাবে সফল। প্রসাবে জ্বালাপোড়ার জন্য ঘরোয়া চিকিৎসায় প্রচুর পরিমাণে পানি এবং অন্যান্ন কিছু পান করার পাশাপাশি ক্রানবেরী জুস খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও এই ক্র্যানবেরী সিস্টাইটিস হওয়ার হাত থেকেও বাঁচাতে সাহায্য করে বহুগুণে। 

মুত্রাশয় সংক্রমণ হলে মুত্রনালী এবং মুত্রথলিতে ও তার প্রাচীরের সাথে অসংখ্য ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকে যা খুব স্বাভাবিকভাবে বের হতে চায়না। প্রচুর পরিমাণে ক্র্যানবেরী বা ক্রানবেরী জুস খেলে তা মুত্রনালী এবং মত্রথলির প্রাচীরে লেগে থাকা সেই সমস্ত ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ও তার পাশাপাশি এগুলোকে সব সময়ের জন্য জীবানুমুক্ত রাখতে দারুনভাবে সাহায্য করে। এছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণে ক্র্যানবেরী সেবনের ফলে কিডনীতে পাথর তৈরীর সম্ভাবনাকে নষ্ট করে ফেলে। 
প্রসাবে-জ্বালাপোড়া-ঘরোয়া-চিকিৎসা



ক্র্যানবেরী জুসে যেসকল ভিটামিনের উপস্থিতি থাকে তা আমরা দেখবো- 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হলে ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে ক্র্যানবেরীর জুসের ভূমিকা অপরসীম। প্রসাবে জ্বালাপোড়া থেকে নিরাময়তা লাভ করতে ক্র্যানবেরী জুসের যে পুষ্টিমান তা আমাদের জেনে রাখা দরকার।
  • ক্র্যানবেরী জুসে থাকে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেনট।
  • ক্র্যানবেরী জুসে  থাকে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন ই এবং থাকে ভিটামিন কে।
  • ক্যালসিয়াম থাকে প্রচুর পরিমাণে।
  • ক্র্যানবেরী জুসে থাকে পটাশিয়াম।
  • এই জুসে থাকে ফোলেট।
  • থাকে ম্যাঙ্গানিজ।
  • এর জুসে থাকে ম্যাগনেশিয়াম।
  • এবং থাকে তামা। 

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার না খাওয়া 

 প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান একটা কারণ হলো ক্যাফেইন যুক্ত খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত ক্যাফেইন যুক্ত খাবার শরীরের জন্য খুবই খারাপ। বলা যায় যে, স্বাভাবিক ভাবে একজন সুস্থ্য ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন প্রায় ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন ই যথেষ্ঠ। এর থেকে বেশী পরিমাণ গ্রহণ করলে সেইটা শরীরের জন্য হানিকর।  আবার ৪০০ মিলিগ্রামের থেকে অধিক বেশী ক্যাফেইন গ্রহণ করলে সেইটা এক ধরণের নেশায় পরিণত হতে পারে। 

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার গুলো চেনার কিছু সহজ উপায় আছে। সেইটা হলো- কোন খাবারের উপাদানে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান যেমনঃ কোলা বাদাম, কোকোয়া বীজ, চা পাতা, বিন এবং কফি এই ধরনের শস্য থেকে উৎপাদিত হয় ক্যাফেইন। এসব শস্য থেকে নেওয়া ক্যাফেইন থেকে তৈরী হয় ছোটদের জন্য অতি সুস্বাদু চকলেট, সকল ধরেণের মানুষের প্রথম পছন্দের পণ্য চা ও কফি এবং এনার্জি ড্রিংকস হিসেবে পরিচিত স্বাস্থ্যের জন্য  হানিকর কোমল পাণীয়। 

কোন খাবারে ক্যাফেইন আছে কি না সেইটা আপনারা একটু যাচাই-বাছাই করে নিতে উক্ত খাবারের মোড়কে উল্লেখিত প্রতিটি উপাদানের নাম এবং পরিমাণ দেখে শনাক্ত করতে পারেন। কোন খাবারে যদি ক্যাফেইন থেকে থাকে তাহলে সেই খাবার খাওয়ার জন্য আগে ভেবে নিতে হবে। কেননা উক্ত খাবার আপনার শরীরের জন্য পারফেক্ট খাবার নাও হতে পারে। এটা হতে পারে কেবল আপনার আত্মতৃপ্তির একটা কারণ।

ক্যাফেইন যুক্ত খাবার একদিকে যেমন ক্লান্তি দূর করে শরীরকে রাখে সতেজ তেমনি দীর্ঘ মেয়াদী ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে বাড়তে পারে প্রসাবে জ্বালাপোড়া সহ আরও বিভিন্ন জটিল জটিল সব সমস্যার। যদিও বর্তমান সময়ে বাজারে থাকা বেশিরভাগ খাবারেই রয়েছে ক্যাফেইন তবুও আমাদের সতর্ক থেকে এসব খাবার গুলি গ্রহণ করতে হবে। তাহলে সম্পূর্ণভাবে না হলেও অন্তত কিছু পরিমাণ ক্যাফেইনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। 

মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া হওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান অন্তরায় হলো মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার কেবল প্রসাবে জ্বালাপোড়াই সৃষ্টি করেনা বরং এটা শরীরে নানান রকমের রোগ-ব্যাধি সৃষ্টিতে খুবই পটু। মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীরে যেসমস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব পরিলক্ষিত হয় সেগুলো হলো-

যাদের খুব বেশী পরিমাণে গ্যাস বা এসিডিটি আছে, সামান্য পরিমাণ খেলে বদ হজম হয় অথবা আই বি এস এর মতো সমস্যা হয়ে থাকে অতিরিক্ত মসলা যুক্ত খাবার তাদের জন্য পরিহার্য।

অন্ত্রের জ্বালাপোড়া যাদের আছে, তাদের মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা অতীব বাঞ্ছণীয়। কেননা এই ধরনের রোগীরা যদি অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খায় তাহলে তাদের ডায়রিয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে।

আপনি যদি পাইলস এর রোগী হয়ে থাকেন তাহলে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার আপনার জন্য কখনই না। এই মসলাযুক্ত খাবার আপনার পাইলস সমস্যাকে আরও জোড়ালো করে তুলবে এবং আপনার অসস্তির বড় একটা কারণে পরিণত হবে। তাছাড়া এর ফলে মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়ার মতো ঝুঁকিও থেকে যায়।

মহিলাদের জন্য একটা বড় সতর্কতা যে, অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে ঋতুস্রাবের সময় তাদের বিভিন্ন ভোগান্তির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

বর্তমানে মানুষের মাঝে আলসারের সমস্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এর মূল কারণ হলো- অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। তাই মসলাযুক্ত খাবার কম খাওয়া উচিৎ। 

শেষ কথা 

প্রসাবে জ্বালাপোড়া ঘরোয়া চিকিৎসা নেওয়ার জন্য ডাক্তারের কাছে না গিয়ে উপরিউক্ত বিষয়গুলি প্রাথমিকভাবে গ্রহণ করা যেতে পারে। তাই আমি বলবো যে, যদি কখনও কারও কোন কারণবসত প্রসাবে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়ে থাকে আর আপনারা উপড়ে বর্ণিত বিষয়গুলি যদি মেনে চলেন তাহলে আমি আশাবাদী যে, প্রসাবে জ্বালাপোড়া অবশ্যই কমে যাবে। আর যদি দেখেন যে, উপরিউক্ত বিষয়গুলি ফলো করার পরেও প্রসাবে জ্বালাপোড়া কমছে না অথবা কয়েকদিন হয়ে গেছে তাহলে আর দেরি না করে অবশ্যই নিকটস্থ ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url