মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে জানুন
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে আপনি একবেবারে উপযুক্ত স্থানেই এসে উপস্থিত হয়েছেন। মেছতা একদিকে যেমন মুখের সৌন্দর্যকে নষ্ট করে দেয় তেমনি আবার এর
কারণে নানান ধরনের চিন্তা ভাবনা মাথাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খায়। আজ আমরা মেছতা কেন হয়, এটা কিভাবে রোধ করা যায় ইত্যাদি ম্পর্কে বিভিন্ন কিছু জানার চেষ্টা করবো। তাই চলুন মেছতা নিয়ে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
সূচিপত্রঃ মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
- মেছতা কি এবং কেন হয়
- ঘরোয়া ভাবে মেছতা দূর করা
- কাঁচা হলুদ দিয়ে মেছতা দূর করা
- সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা
- চন্দন গুঁড়ার প্রলেপ
- টক দই উপাচার
- কমলা লেবুর খোসা
- মেসতা দূর করার ক্রীম
- অন্যান্ন উপকরণ
- শেষ কথা
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি খুবই সহজ। যা অনেকেই জানেন আবার অনেকে জেনেও সেইটা
কাজে লাগায় না। তো এই সাধারণ কিছু জিনিস যারা জানেন তাঁদের জন্য নতুন করে আর
কিছুই বলার নাই। আর যাঁরা জানেন না তাঁদের জেনে নেওয়াটা খুবই দরকার। গ্রামে-গঞ্জে
যাদের দাদী বা নানী আছেন তারা তাদের দাদী বা নানীদের মুখে মেছতা দূর করার বিভিন্ন
প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং বিভিন্ন উপাচার সম্পর্কে জেনে থাকবেন।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি গুলোর মধ্যে আমরা প্রথমে যেসব করতে পারি সেইটা হলো
আমাদের ত্বক যদি আমরা পরিষ্কার রাখি তাহলে মেছতা কমে যেতে পারে, মধু ও লেবুর রস
মেছতা দূর করার জন্য খুবই উপকারী উপাদান হিসেবে পরিগণিত। তাছাড়া দুধ এবং চন্দনের
গুঁড়া মেছতায় প্রয়োগ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। আবার মেছতায় টক দইয়ের প্রয়োগের ফলে
মেছতার দাগ অনেকাংশে কমানো সম্ভভ। তাছাড়া টপিক্যাল ক্রীম, কেমিক্যাল পিলিং,
প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা থেরাপি দিয়ে মেছতা দূর করা যায়।
মেছতা কি এবং কেন হয়
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে কিছু বলার পূর্বে জানতে হবে যে, মেছতা কি?
বাস্তবিক অর্থে মেছতা হলো এক ধরনের চর্মরোগ। কোন মানুষের শরীরে যখন ইস্ট্রোজেন
হরমোন এবং প্রজেস্টেরন হরমোন বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় তখন তার ফল স্বরুপ উক্ত
ব্যক্তির মুখে ও গালের উপরিভাগে বা কখনও কখনও সমস্ত মুখমন্ডলে গাঢ় বাদামী যে
দাগ দেখা যায় তাই হলো মেছতা। স্থান এবং কারণ অনুযায়ী মেছতা কয়েক রকমের হতে
পারে।
মেছতা সেন্ট্রো-ফেসিয়াল, ম্যালার এড়িয়া এবং মেন্ডিবুলার এই তিন ধরণের হতে
পারে। যদি কপালের, মুখের, থুতনীর এবং নাকের উপড় বা আশেপাশে হলে সেইটা
সেন্ট্রো-ফেসিয়াল মেছতা, নাকে এবং গালে মেছতা হলে সেইটা ম্যালার এড়িয়া আর যেই
ধরণের মেছতা থুতনির উপড় হয় সেইটা হলো মেন্ডিবুলার মেছতা। মেছতা পিগমেন্টেশন ডিসঅর্ডার হিসেবে ত্বকের উপড় ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে মুখের
সুন্দর কিছু অংশের সৌন্দর্যের বিকৃতি ঘটে।
মেছতা যে একটা চর্মরোগ এটা সবাই জানে না। এইটা না জানার ফলে অনেকে অনেক ভুল
করে থাকে। তাই অনেক সময় দেখা যায় যে, জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য নানান রকম ঔষধ বা
পিল জাতীয় কিছু খাবারের ফলে বা হরমোন পরিবর্তিত হয়ে মুখে মেছতা সৃষ্টি
হতে পারে। এছাড়া দিনের বেলা চলাচলের সময় সূর্যের আলোতে থাকা অতি বেগুনী রশ্মি
থেকে মেলানিন সৃষ্টি হয়, আর এই মেলানিন বেশী পরিমাণে সৃষ্টি হলে মুখে মেছতার
আবরণ দেখা দেয়।
ঘরোয়া ভাবে মেছতা দূর করা
যাদের অতি সুন্দর মুখমুন্ডল রয়েছে কিন্তু মেছতা সেই সৌন্দর্য্য সম্পূর্ণটাই হরণ
করে নিয়েছে, তাদের দুঃখের আর শেষ টাই বা কোথায়? মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি
প্রয়োগ করার পূর্বে লেজার ট্রিটমেন্ট নিয়ে কিছু জানা যাক। লেজার ট্রিটমেন্ট সবার
জন্য সুফল বয়ে আনে না আবার সব সময় খারাপও হয়না। লেজার ট্রিটমেন্টের জন্য রয়েছে
নিয়মিত চর্চা। যাদের সামর্থ আছে তারা লেজার ট্রিটমেন্ট করাতে পারেন। লেজার
ট্রিটমেন্ট বর্তমান সময়ের জন্য খুবই ভালো জিনিস।
লেজার ট্রিটমেন্টের দ্বারা অনেক পুরানো মেছতাও অতি সহজেই দূর হয়ে যায়। কিন্তু
যারা মেছতা দূর করার জন্য এই লেজার ট্রিটমেন্ট করেছেন তারা যদি সঠিকভাবে যত্ন না
নেন, তাহলে এর ফলে ত্বকের আরও বেশী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে। সেই জন্য মেছতা দূর
করার জন্য ঘরোয়া উপায়টি সর্বোত্তম। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মেছতা দূর করার উপায়গুলি ট্রাই
করলে ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম বা থাকেনা বললেই চলে।
কাঁচা হলুদ দিয়ে মেছতা দূর করা
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি তে আমরা প্রথমেই আলোচনা করবো কাঁচা হলুদ নিয়ে। কাঁচা
হলুদের গুণাগুণ সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশী জানি। কাঁচা হলুদের যে হাজারও গুণ
রয়েছে সেটা তো বলা বাহুল্য নয়। কাঁচা হলুদে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্কিউমিন ও
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। আর এসবের উপস্থিতে কাঁচা হলুদের মান বেড়ে যায় বহুগুণে।
কাঁচা হলুদে থাকা কার্কিউমিন দেহে মেলানিন পক্রিয়াজাতকরণ কমিয়ে ফেলে মেছতার
আবরনকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে।
কাঁচা হলুদের ব্যবহার ও এর উপকারের শেষ নেই। কাঁচা হলুদের সাথে কিছু না মিশিয়েও
মুখে লাগানো যায়। আবার আরও ভালো ফল পাওয়ার জন্য কাঁচা হলুদের সাথে ডালের বেসন
মিশানো যেতে পারে। তাছাড়া টক দই এবং কাঁচা হলুদ একটি পাত্রে নিয়ে একসাথে মিক্সড
করে মেছতার উপড়ে প্রয়োগ করলে আরও ভালো, মৃসন এবং পরিষ্কার একটা ত্বক পাওয়া
যায়। যা মেছতা যুক্ত এলাকাকে আগের থেকে আরও বেশী উজ্জ্বল দেখায়।
অন্য একটি প্রক্রিয়ায় কাঁচা হলুদ বাটা, ডালের বেসন, গোলাপের পাঁপড়ি এবং মিল্ক
ক্রীমের সংমিশ্রণে যেই পেস্ট তৈরী করা হয় সেইটা মেছতা দূরীকরণে আরও বেশী উপযোগী।
মেছতার আশেপাশে থাকা অনেক পুরানো দাগ, কালচে ভাব, বিভিন্ন দাগ, তৈলাক্ততা প্রভৃতি
অতি শক্তিশালী চিহ্ন গুলি খুবই দ্রুততার সাথে মিলিয়ে যায়। কারণ- হলুদে থাকা
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, দুধে থাকা ল্যাকটিক এসিড যথাক্রমে প্রদাহ উপশম করা ও ত্বকের
আদ্র ভাবটা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কোষ গঠনে ডালের বেসনের প্রলেপ একটি বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। হলুদ, ডালের বেসন,
গোলাপের পাঁপড়ি এবং মিল্ক ক্রীমের এই পেস্ট মুখে প্রয়োগ করার পরে বিভিন্ন ভাবে
মারা যাওয়া কোষ গুলি ত্বকের উপড় আর পড়ে থাকে না বা সেগুলিকে সরিয়ে দিয়ে কোষ
পরিষ্কার করে এবং অন্যান্ন কোষ গুলিকে সতেজ করে তুলে। আবার আমাদের ত্বকের জন্য
অ্যারোমা খুবই উপকারী একটা উপাদান যা এই পেস্টে থাকা গোলাপের পাঁপড়ি খুব সহজেই
তার যোগান দিতে পারে।
সূর্যের আলো থেকে সুরক্ষা
সূর্যের আলোতে গেলে যেমন ভিটামিন ডি পাওয়া যায়, তেমনি আবার সূর্যের আলোতে
বেশীক্ষণ স্থায়ী হলে সূর্যের আলোতে থাকা অতি বেগুনী রশ্মি ত্বককে জ্বালিয়ে দিতে
পারে। তাই বলা যায় অতিরিক্ত হারে সূর্যের আলোতে থাকলে ত্বকের বড় একটা অংশ পুড়ে
গিয়ে মেছতার মত বড় বড় ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে থাকে। আর তার ফলেই সৌন্দর্যমন্ডিত
মুখমন্ডল হয়ে যায় বিকৃত। যা হয়ে উঠে বিরক্তি মূল কারণ।
সূর্যের আলোতে গেলে যেহেতু ত্বক পুড়ে যায় বা কোন আবরণের সৃষ্টি হয়, তাই সূর্যের
আলোতে যাওয়ার পূর্বে শরীরের প্রতিরক্ষার জন্য ত্বক কে সূর্যের আলো থেকে আড়াল করার
জন্য ফুল শার্ট পরা যেতে পারে, আর তার সাথে মাথা এবং মুখের ত্বক কে বাঁচাতে মাথার
উপড়ে ক্যাপ ছত্র খুবই উপযোগী। তাছাড়া রোদের আলোর অবস্থা বুঝে দিনের বিভিন্ন কাজ
গুলি সকালে এবং বিকেলে করে রাখলে ভালো। এই সময় সূর্যের রোদের তেজ কম থাকে। ফলে
ত্বকের উপড় ততটা প্রভাব পরার সম্ভাবনা কম।
উপরিউক্ত বিষয় ছাড়াও বাহিরে বের হতে গেলে ছাতা নিয়ে বের হওয়া যায়। রৌদ্রজ্জ্বল
দিনে ছাতার ব্যবহার আপনার ত্বককে বহুগুণে সুরক্ষা প্রদান করবে। এটা ছাড়াও রোদে বা
দিনের বেলা বাহিরে গেলে ত্বকে যেন কোন প্রভাব না পড়ে তার জন্য সানস্ক্রীণ ব্যবহার
করা সবথেকে ভালো। সানস্ক্রীণ ব্যবহার করলে সূর্যের আলোতে ত্বকের ক্ষতি শূন্যে
নেমে আসবে। সূর্যের আলো থেকে নিজের ত্বক কে বাঁচাতে এবং সতেজ রাখতে সারাদিন
বাহিরে বের না হয়ে ঘরে অবস্থান করে বিকেলে বা সন্ধ্যায় বাহিরে আসা যেতে
পারে।
চন্দন গুঁড়ার প্রলেপ
মেছতা দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে আপনার অন্যতম পছন্দ হবে চন্দনের গুড়া বা
এর প্রলেপ। কারণ মেছতা সহ বিভিন্ন ধরনের পুরানো দাগ ত্বক থেকে সরিয়ে ফেলতে
চন্দনের গুঁড়া বা এর প্রলেপ দেওয়ার কোন জুড়ি নেই। চন্দননের গুঁড়া শরীরের জন্য
অনন্য উপযোগী একটি উপাদান। কেননা এটি ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে
থাকে এবং প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক রোগের বিরুদ্ধে
প্রতিরোধ গড়ে তুলে।
চন্দনের গুঁড়োর সাথে যদি কোন কিছুর কম্বিনেশন ঘটানো যায় তাহলে তার ফলাফল টা আরও
বেশী হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি একটি ছোট পাত্রে কিছু পরিমাণ চন্দনের গুঁড়ো আর
কিছুটা লেবুর রস, কিছু পরিমাণ দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে মেছতার উপড় লাগিয়ে
কিছুক্ষণের জন্য ত্বকের উপড় লাগিয়ে রাখেন আর সেইটাকে যদি মেসেজ করে পরিষ্কার পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলেন এবং এভাবে রেগুলার ত্বক পরিষ্কার করতে থাকলে তার সুন্দর ফলাফল
আপনি নিজেই লক্ষ করতে পারবেন।
চন্দনের গুঁড়ো কেবলমাত্র যে মেছতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা নয়। বরং চন্দনের গুঁড়ো
ত্বক থেকে তৈলাক্ত ভাবটা দূর করতেও বহুগুণে সাহায্য করে। তাই মেছতার পাশাপাশি
যাদের মুখের ত্বক তৈলাক্ত অথবা যাদের মেছতা নেই কিন্তু মুখের ত্বক অনেক বেশী
তৈলাক্ত, তাঁরা চন্দনের গুঁড়োর সাথে কিছুটা দুধ মিশাবেন কিন্তু তার মধ্যে লেবুর
রস ব্যবহার করবেন না। কেননা এতে করে আপনার ত্বক আরও বেশী শুষ্ক হয়ে যাওয়ার
সম্ভাবনা বেশী থাকে।
টক দই উপাচার
মেছতা দূরীকরণে টক দই উপাচার এর ভূমিকা অনেক। যারা মেছতা দূর করার জন্য বিভিন্ন
রকমের ঘরোয়া উপায় জানতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য এই টক দই উপাচার হবে সবথেকে সহজ একটা
উপায়। টক দই উপাচারের প্রথমটা টিপস টি হলো একটি পাত্রে এক থেকে দেড় চামচ টক নিয়ে
তার ভেতরে সম পরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এবার সেই টক দই এবং লেবুর রসকে
ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে এবং ৫-১০ মিনিটের জন্য রেখে দিয়ে সেইটাকে মেছতার উপড়
লাগাতে হবে।
মেছতা দূরীকরণে টক দই উপাচারের আরেকটি উপায় হলো টক দই এর সাথে মধুর সংমিশ্রণ
ঘটিয়ে সেইটা মেছতার উপড় লাগাতে হবে। আর এই কাজটি করার জন্য প্রথমে একটি পাত্রে
কিছু পরিমাণ টক দই নিয়ে তার ভেতরে সম পরিমাণ মধু নিয়ে একটি পেস্ট বানাতে হবে এবং
সেইটা কিছুক্ষণের জন্য রেখে দিয়ে পরে মেছতায় লাগাতে হবে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ২-৩
দিন ব্যবহার করলে মেছতা অনেকটা ভালো হয়ে যায় এবং মুখের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়তে
থাকে।
কমলা লেবুর খোসা
কমলা অতি স্বুস্বাদু বারোমাসি একটি ফল। যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন পুষ্টির অভাব
খুবই সহজে পূরণ করে থাকে। আমরা কমলা খেয়ে তার খোসা ফেলে দিয়ে থাকি। কিন্তু কমলার
ফেলে দেওয়া এই খোসার গুরুত্ব অনেক। কেননা কমলার খোসা ত্বকে ব্যবহার করলে বিভিন্ন
উপকার পাওয়া সম্ভব। কমলার খোসা সরাসরি ব্যবহার করা যায়না। তবে কমলার খোসাকে কুচি
কুচি করে ব্যবহার করা যায় বা ব্ল্যান্ডারের মাধ্যমে গুঁড়ো করে বা কেটে নিয়ে তার
সাথে অন্যান্ন কিছু উপকরণ যোগ করে ত্বকে লাগানো যেতে পারে।
মেসতা দূর করার ক্রীম
বাজারে অনেক ধরনের ক্রীম রয়েছে যা ত্বক থেকে মেছতা দূর করার জন্য বহুলভাবে
ব্যবহার করা হয়। এগুলো ব্যবহার করে অনেকেই উপকৃত হয়ে থাকেন। এসব ক্রীম ত্বক থেকে
বিভিন্ন রকমের দাগ ও মুখের ত্বকের কুৎসিত অবস্থাকে দূর করে খুবই চমৎকার ভাবে। এসব
ক্রীম ব্যবহার করার ফলে হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্যকে নতুন করে ফিরিয়ে নিয়ে আসে,
ত্বকের উজ্জ্বলতা কে বৃদ্ধি করে।
অন্যান্ন উপকরণ
অন্যান্ন যেসব উপকরণের মাধ্যমে মেছতা দূর করতে পারবেন সেগুলো সম্পর্কে কিছু বলা
যাক। প্রথমে বলা যায় যে, অ্যালোভেরা যদি মেছতায় লাগিয়ে রাখলে অনেক ভালো ফলাফল
পাওয়া যায়। মধুর সাথে দারুচিনির একটা কম্বিনেশন সৃষ্টি করে সেইটা মেছতার উপড়
প্রয়োগ করলে মেছতার দাগ অনেকটাই কমে যায়।
শেষ কথা
মেছতা দূর করার ঘরোয়া পদ্ধতি নিয়ে যাবতীয় কথা বলেছি। তবে আমার মনে হয় যে, মেছতা
দূর করার জন্য এখানে বর্ণিত সমস্ত ঘরোা পদ্ধতি গুলিই সকলের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এসব ঘরোয়া পদ্ধতিতে একদিকে যেমন মেছতা দূর হয়, তেমনি আবার
খরচ কমে বহুগুণে। তাছাড়া এসব পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে ততটা ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা
থাকে না। তবে মেছতা দূর করার জন্য অনেকে বাজার থেকে কিছু ক্রীম কিনে থাকেন,
যেগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ব্যবহার করা উচিৎ না।



অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url