ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা নিয়ে জানার পূর্বে প্রথমে সজনে পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা সজনে পাতার ভেতরে রয়েছে শরীরের জন্য অতি প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। যেগুলো আমাদের শরীরে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি সুখবর যে, সজনে পাতা খাওয়ার ফলে শরীর ইনসুলিন সৃষ্টি করে, ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
সূচিপত্রঃ ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপতারিতা
- ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
- যেই সমস্ত রোগের জন্য সজনে পাতা বেশী কার্যকরী
- সজনে পাতার বিভিন্ন উপকারিতা
- কাঁচা সজনে পাতার গুণাগুণ
- ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সজনে পাতার গুরুত্ব
- কিছু সাবধানতা অবলম্বন
- ডায়াবেটিসে সজনে পাতার যৌক্তিকতা
- কখন সজনে পাতা খাওয়া যাবে না
- অপকারিতা
- শেষ কথা
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা বলে শেষ করা যায় না। সেই জন্য চলুন এই সজনে পাতা সম্পর্কে কিছু তথ্য আগে জেনে নিই। সজনে গাছ বাংলাদেশ, ভারত,পাকিস্তান তথা দক্ষিণ এশিয়াতে ব্যাপক পরিমানে দেখতে পাওয়া যায়। সজনে গাছ আমাদের কাছে বিশেষ ভাবে পরিচিত কারণ হলো যে, এই গাছের পাতা ফুল সব কিছুই আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ সর্দি কাশি নিবারণের জন্য অমিশ্র সরণী
আমাদের দেশে গ্রামে-গঞ্জে, হাটে বাজারে, মাঠে ঘাটে, বিভিন্ন আনাচে কানাচে প্রভৃতি স্থানে এই গাছ জন্মাতে দেখতে পাওয়া যায়। শুরু থেকেই মানুষ এই গাছের পাতা ও ফলকে অতি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে জেনে আসছে কিন্তু এর গুণাগুণ নিয়ে এত বিচার বিবেচনা করেনি কখনও। দিন বদলে আধুনিকায়নের যুগে আজ সমগ্র পৃথিবীতে সজনে পাতার গুণাগুণ সম্পর্কে জেনেছে এবং আরও বেশী করে জানতে চাইছে বা জানার জন্য মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
বিশ্বের বেশিরভাগ উন্নত দেশ সজনে পাতাকে "সুপারফুড" হিসেবে বিবেচনা করছে। তাই এর চাহিদা দিনদিন আরও বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ সজনে পাতা সম্পূর্ণ রুপে এবং ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে পরিপূর্ণ বা ভরপুর থাকে। যা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সজনে পাতা আহারের ফলে রক্ত থেকে শর্করার পরিমাণ কমে যায় এবং ওজনও কমে যায়।
যেই সমস্ত রোগের জন্য সজনে পাতা বেশী কার্যকরী
সজনে পাতা একধরনের শাক হিসেবেই বেশী খওয়া হয়ে থাকে। তবে এই সজনে পাতাকে শাক ছাড়াও গুঁড়ো করে বা চা এর লিকার এর মতো করেও খাওয়া যায়। আর এভাবে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া সম্ভব। চলুন সজনে পাতাকে গুঁড়ো করে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যেতে পারে সেসব জেনে নেওয়া যাক।
১) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে- ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা আছে অনেক। ডায়াবেটিস এর রোগীদের উচিৎ কাঁচা সজনে পাতার পাশাপাশি এই পাতাকে গুঁড়ো করে চা এর মতো করে পান করা। এর কোন কিছু বাদ বা ফেলে না দেওয়াই ভালো। তাই ডায়াবেটিসের রোগীরা যদি সজনে পাতা গুঁড়ো করে খায় তাহলে তার রক্তে থাকা শর্করার পরিমাণ অনেকাংশে কমে যাবে ও এই সজনে পাতা শরীরের সুগার কে নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করে থাকে। তাছাড়া এটা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করতে সম্পূর্ণ রুপে সক্ষম।
২) উচ্চ রক্তচাপ রোধ- সজনে পাতাকে গুঁড়ো করে চা আকারে খেলে ধমনীতে রক্তের যে প্রেসার বা অতিরিক্ত চাপ থাকে সেটা খুবই তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ হয়ে যায়।
৩) লিভার ও কিডনীর সুরক্ষা- শরীর বা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে হয়। এসব খাবারের মধ্যে কিছু খাবার বিশেষ ভাবে লিভার ও কিডনী কে সুরক্ষা দেয়। এসব খাবারের মধ্যে মরিঙ্গা টি বা সজনে পাতার গুঁড়ো করা চা অন্যতম। যা পান করার পরে লিভার এবং কিডনী উভয়ই ভালো থাকে।
৪) চর্মরোগ ও অন্যান্ন ক্ষেত্রে- সজনে পাতার গুঁড়োতে এ্যান্টিইনফ্লেমেটরি নামক একটি বিশেষ উপাদান বিদ্যমান বলে এই পাতা থেকে সৃষ্ট চা খেলে দেহের বিভিন্ন স্থানে হাড়ের সংযোগ স্থলের ব্যাথা থাকলে কমে যায়। বিভিন্ন স্থানে ফুলা থাকলে কমে যায়, শরীরের কোন অংশ অবশ হয়ে গেলে তখন এই চা খুবই ভালো কাজ করে। তাছাড়া চর্মরোগের ক্ষেত্রে এই চা এবং সজনে ফলের বীজ থেকে তৈরী তেলের প্রলেপ দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫) পাচন তন্ত্রের কাজ- বিভিন্ন কিছু খাওয়ার ফলে শরীরের পাচনতন্ত্র সেগুলিকে হজম করতে সাহায্য করে। যদি কোন কারণে সেই ক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন না হয় তাহলে হজম পক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। এই পাচনতন্ত্রকে সঠিক ভাবে তার কাজ পরিচালনা করতে মরিঙ্গা চা বা সজনে পাতার গুঁড়ো চা এর কোন বিকল্প নেই। এই চা পান করার ফলে পাচন ক্রিয়া পুনরায় তার কাজ পূর্বের মতো কাজ করতে থাকে।
৬) হৃদরোগ কমাতে- সজনে পাতার চা বা মরিঙ্গা চা হৃদরোগ কমাতে ব্যাপকভাবে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এটা খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়।
৭) অ্যানিমিয়া বাড়ায়- বর্তমানে মানুষ নানা রকম খাবার খাচ্ছে যা স্বাস্থ্য সম্মত নয়। এসব খাদ্যাভাসের কারণে মানুষের রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান দিন দিন কমে যাচ্ছে। আর রক্তে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে বিভিন্ন নতুন সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই যাদের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেছে তারা সজনে পাতা গুঁড়ো করে খেতে পারেন।তাহলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় থাকবে।
আরও পড়ুনঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার কৌশল সমূহ
৮) গর্ভাবস্থায় মরিঙ্গা সেবন- গর্ভবতী মায়েরা গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন রকমের সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। যেমন- পেট ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, মাথা ঘোরা, অসস্তি লাগা, বমি করা, খাবারের প্রতি অনিহা, অরুচি প্রভৃতি সময় মরিঙ্গা বা সজনে পাতার চা খেলে এসব থেকে উপশম মিলে খুবই কম সময়ে। তাছাড়া মরিঙ্গা সেবনে মায়ের দুধ উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে যায়।
সজনে পাতার বিভিন্ন উপকারিতা
১) ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা কেবল এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। এর প্রভাব ব্যাপক ও বিস্তৃত। চলুন জেনে নিই সজনে পাতার আরও কিছু উপকারিতা সম্পর্কে।
২) সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। জানলে অবাক হবেন যে সজনে পাতায় গরুর দুধের থেকেও চারগুণ বেশী ক্যালসিয়াম থাকে।
৩) সজনে পাতা বা সজনে পাতার গুঁড়ো শরীরের হাড় ও দাঁতের চিকিৎসার জন্য দ্রুত কার্যকরী।
৪) সজনে পাতা ও এর গুঁড়ো ত্বকের যত্নে দারুন কাজ করে থাকে। তাছাড়া চামড়ার কুঁচকানো অবস্থা,বলিরেখা ও নানান ধরনের দাগ দূর করতে এর কোন জুড়ি নেই।
৫) মুখের ব্রণ দূর করতে সজনে পাতার কোন তুলনা নেই। সজনে পাতায় এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকার কারণে খুব তাড়াতাড়ি মুখ থেকে ব্রণ বিলিন হয়ে যায়। তবে এই অবস্থায় ডাক্তারের অনুমোতি প্রয়োজন।
৬) সজনে গাছের মূল বা ছাল খেলে রক্ত চলাচল ও হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৭) সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ থাকে। এই পাতায় এত পরিমাণ আয়রন থাকে যা কিনা পালংশাকে থাকা আয়রণের তিন গুণ বেশী। তাছাড়া সজনে পাতায় অনেক জিংক পাওয়া যায় যা শরীরের এ্যনেমিয়া দূরিকরণে ব্যাপক সাহায্য করে।
8) সজনে পাতার গুঁড়ো চা আকারে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেড়ে যায়, শরীর থেক বিষাক্ত ধাতু ও পদার্থ বের হয়ে আসে। তাছাড়া সজনে পাতা দেহের রেডিয়েশন এবং কেমো থেরাপিতে সাহায্য করে।
৯) এটা মানুষের যৌন শক্তিকে বৃদ্ধি কর থাকে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট।
১০) সজনে পাতাকে যদি রস বানিয়ে খাওয়া হয় তাহলে ধমনীতে রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়।
১১) এই পাতার মধ্যে ৪৫ রকমের এন্টিঅক্সিডেনট, প্রায় ৯০ রকমের পুষ্টি উপাদান,৩৫ রকমের ইনফ্ল্যামমেটরি কার্যকারিতা বিদ্যমান। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে।
১২) সজনে পাতায় প্রচুর পরিমাণে বায়োটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ থাকে। যা চুল পড়া রোধে কাজ করে।
১৩) সজনে পাতার গুঁড়ার পাশাপাশি এর মূল ও শিকড় বাত,হাঁপানী এবং কাশি নিরাময়ে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
১৪) সজনের তেল ঠোঁটের পরিচর্যা এবং এলার্জিতে দারুন কাজ করে
কাঁচা সজনে পাতার গুণাগুণ
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা রয়েছে অনেক। ডায়াবেটিসের রোগীরা কখন কিভাবে সজনে পাতার গুঁড়ো বা কাঁচা পাতা খেতে পারবেন তার সম্ভাব্য একটা সময় সূচি দেখে নেওয়া যাক।
১) প্রত্যেহ সেবন- একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ প্রতিদিন ১০ গ্রাম বা ২ টেবিল চা চামচ মরিঙ্গা গুঁড়ো খেতে পারেন। এই গুঁড়ো প্রথম অবস্থায় কম করে সেবন করা উচিৎ এবং ধাপ অনু্যায়ী বাড়ানো যেতে পারে।
২) খালিপেটে সেবন করা- প্রতিদিন সকালে সজনে পাতার গুঁড়ো এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খেলে দারুন ফলাফল পাওয়া সম্ভব। সজনে পাতা বা এর গুঁড়ো শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ সকালে খালি পেটে পানি পান করার উপকারিতা
৩) খাবারের সঙ্গে সেবন- যেহেতু সজনে পাতা অতিশয় পুষ্টিগুণে গুণান্বিত, তাই এটি খাবারের সময় যেই খাবারে মেশানো হয় সেটা খুবই সুস্বাদু হয়ে ওঠে। তাছাড়া সজনে পাতা ভাতের সাথে,ডালের সাথে,স্যুপের সাথে এবং সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়।
৪) গরম পানিতে মিশিয়ে সেবন- সজনে পাতার গুঁড়ো গরম পানিতে খাওয়ার ফলে সর্দি,কাশি এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা যায়।
৫) গরম পানিতে সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে খেলে নানা রকম সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সজনে পাতার গুরুত্ব
বর্তমান পৃথিবীতে ডায়াবেটিস একটি মরণ ব্যাধিতে পরিণত হচ্ছে। ডায়াবেটিস রোগটি এমন মারাত্মক একটি রোগ যা মানুষের শরীরে ইনসুলিনের উৎপাদনের মাত্রা কমিয়ে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে সেখানে নানা রকম রোগের বাসা বাড়িতে পরিণত হয়ে যায় সেই রোগী। তবে শরীরে যাতে শর্করার পরিমাণ বজায় থাকে তার জন্য সজনে পাতার গুরুত্ব অপরসীম।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য নিয়ম মাফিক খাবার খাওয়া এবং আরাম দায়ক জীবন পরিত্যাগ অপরিহার্য বিষয়। তবে কাঁচা সজনে পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঔষধ হিসেবে পরিচিত অনেক আগে থেকেই। তাই এই বিষয়ে সবথেকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া বাঞ্ছণীয়। কেননা এই সজনে পাতাকে মানুষ ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে সৃষ্টিকর্তার দিক থেকে বড় একটা আশির্বাদ। যা সাদোরে গ্রহণ করলে এই মারাত্মক রোগকে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
সজনে পাতায় প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই,ভিটামিন সি, প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। তাছাড়া সজনে পাতায় পটাশিয়াম ও আয়রন ছাড়াও নানান রকমের পুষ্টি উপাদান সমূহ বিদ্যমান। যেসব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মরিঙ্গা ডায়াবেটিক প্রতিরোধী গুণ সম্পন্ন একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা মানব শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রাকে সঠিক অবস্থায় থাকতে সাহায্য করে।
কিছু সাবধানতা অবলম্বন
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা এর পাশাপাশি কিছু অপকারিতাও বিশেষভাবে বিদ্যমান। সজনে পাতা মানব শরীর তথা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য একটি ভালো খাদ্য। তবুও এই খাবার খুব বেশী পরিমাণ বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভালো হবে। কেননা ডায়াবেটিস কমানোর জন্য অতিরিক্ত মাত্রায় সেবন করলে এর ফল হিতে বিপরীতও হতে পারে।
গর্ভবতী মা এবং শিশুদের খাবারের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ অতিব জরুরী।
ডায়াবেটিসে সজনে পাতার যৌক্তিকতা
কখন সজনে পাতা খাওয়া যাবে না
অপকারিতা
পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিসের দুটো দিক রয়েছে। একটি ভালো এবং অপরটি মন্দ দিক। যদিও সজনে পাতা একটি উপকারী খাবার। এর অনেক উপকারী দিক থাকা সত্ত্বেও এর কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। সজনে পাতার ক্ষতিকর দিক তেমন পরিলক্ষিত হয় না। তবে সজনে পাতা খুব বেশী পরিমাণ খাওয়া ঠিক নয়। আর সজনে পাতা খাবারের পূর্বে ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে তারপরে খাওয়া উচিৎ।
শেষ কথা
ডায়াবেটিস রোগীর কাঁচা সজনে পাতার উপকারিতা এর শেষে বলা যায় যে, সজনে পাতা,সজনে পাতার গুঁড়ো,সজনে পাজহতার মূল, শেখড় প্রভৃতির যতসব উপকারিতা সেই সমস্ত কোন কিছুই নিছক বা মিথ্যা নয়। এই পাতায় যত সব ভিটামিন, যেই পরিমাণ উপকারিতা রয়েছে তার সম্পর্কে নতুন করে আর বলবার কোন কিছু নাই। সজনে পাতা যে কেবল ডায়াবেটিস এর রোগীরাই খাবেন সেইটা নয়। এই পাতা সর্ব সাধারণের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url